রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ বলেছেন, "বিসিক একটি বিপ্লবের নাম।" শিল্প মানে যে শুধু বড় কল-কারখানা নয়, বরং ছোট পরিসরেও কাজ ও অর্থায়ন করা সম্ভব—এই ধারণাটি বিসিকই প্রথম প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে রাজশাহী লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত বিসিক উদ্যোক্তা মেলা ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বিসিক হচ্ছে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের একটি আশ্রয়স্থল। তবে ষাট ও সত্তর দশকে বিসিক যে আলোড়ন তুলেছিল, তা কতটুকু ধরে রাখা গেছে, এখন তা পর্যালোচনার বিষয়। তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পণ্যের ভিড়ে তাদের পণ্যের জন্য কতটুকু জায়গা করে দেওয়া গেছে বা কেন সম্ভব হয়নি—এসব নিয়ে এখন বিসিকের চিন্তা-ভাবনা করার সময় এসেছে।
তিনি আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কঠোর নির্দেশনা দেন যে, স্টলগুলোতে যেন শুধুমাত্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যই প্রদর্শিত হয়। কোনো বিদেশি বা অন্য কোম্পানির পণ্য যেন প্রদর্শন করা না হয়। তিনি বলেন, "আপনার যতটুকু উৎপাদন ততটুকুই আমরা দেখতে চাই। আমরা অন্যদেরকে অনুপ্রাণিত করতে চাই যে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে হলেও আমরা অনেক কিছু করতে পারি।" তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই মেলা দেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিশ্ব দরবারে নিজেদের তুলে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত হবে।
জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান, বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক জাফর বায়েজীদ এবং বিসিক জেলা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিসিক জেলা কার্যালয়ের শিল্পনগরী কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আজিম।
অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, উদ্যোক্তা ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
দশ দিনব্যাপী এই মেলায় ৭০টি স্টলে উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করবে। মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট